রিমোট কন্ট্রোল ২ টি প্লেন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সাকিব হাসান নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কানাইনগর নামে প্রত্যন্ত গ্রামের এক কিশোর।
একটি ছোট ও অন্যটি বেশ বড় আকৃতির।
সম্প্রতি প্লেন ২ টি পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করা হয়। এখন শুধু প্লেন নয়, তাকেও দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। বড় প্লেনটির নাম বোয়িং ৭৮৭ আর ছোটটির নাম বুষ্ট এয়ার ক্রাফট।
সাকিবের ভাষ্যনুযায়ী , তার আবিষ্কৃত ছোট্ট প্লেনটির ওজন ৩০০ গ্রাম, দৈর্ঘ্য ২৮ ইঞ্চি ও উইং ৩০ ইঞ্চি। প্লেনটিতে ব্র্যাস লেস ডিসি মটর ব্যবহার করা হয়েছে।বড়টির ওজন ৭০০ গ্রাম,দৈর্ঘ্য ৫ ফিট।
মটরের স্পিড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরো ৪টি ইলেকট্রিক সারভো মটর যোগ করা হয়। প্লেনটিতে সিক্স চ্যানেলের একটি রিমোট সংযোজন করা হয়েছে। বিমান তৈরীতে ককশিট/ফোম আর মটর, পাখা, ব্যাটারি,রিমোট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
প্লেনটি প্রায় দুই কিলোমিটার রেঞ্জ পর্যন্ত চলতে পারবে। তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রেঞ্জ আরো বাড়ানো সম্ভব বলে সে উল্লেখ করে। উভয় প্লেন দুটি আকাশে ১০০ মিটার উচ্চতায় ২০ মিনিট উড়তে পারে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের প্রবাসী মো. ইছাক মিয়ার ৩য় ছেলে।তার আরো ২ ভাই রয়েছে। সে মরিচাকান্দি ডি.টি একাডেমীর দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র।মানবিকে পড়েও প্লেন উড়িয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিজ্ঞান মেলায় সাফল্য এনে দেয়।
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও শাকিব পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্ভাবনী কাজ করছে। যা সত্যিই প্রশংসার বলে জানালেন তার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে শাকিব এ আবিষ্কার দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
৫ম শ্রেণিতে পড়াকালীন সে একটি প্লেন বানাবে বলে চিন্তা করে। কিন্তু অর্থাভাবে সেসময় এটা আর হয়ে ওঠেনি। পরে ১০ শ্রেণিতে উঠার পর তার প্রবল ইচ্ছার কারণে প্লেন বানানোর জন্য তাকে সাড়ে কয়েক দফায় ৫০ হাজার টাকা দেন তার বাবা।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দিকে শুরু হয় তার প্লেন বানানোর কাজ। ইউটিউব ও বড় ভাইয়ের পরামর্শে মাত্র ৫ দিনে পরীক্ষামূলকভাবে প্লেনটি বাড়ির কাছে জমিতে উড্ডয়ন করা হয়। প্রায় ১৫ মিনিট প্লেনটি আকাশে উড়ানোর পর অবতরণ করা হয়। এসময় বিপুল সংখ্যক মানুষ তার প্লেনটি দেখতে ভিড় করেন।
ক্ষুদে এই উদ্ভাবক সাকিবের দাবি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে উন্নত প্রযুক্তির মনুষ্যবিহীন আরো উন্নতমানের প্লেন, ড্রোন ও যান বানাতে পারবে সে।যদিও এরই মধ্যে সে স্বল্পমাত্রার ড্রোন,স্পিডবোট বানিয়ে সফল হয়েছে।
সাকিবের মা ছেনোয়ারা বেগম, প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) তার বাড়িতে গেলে বলেন, ছোট বেলা থেকে সৃজনশীল কাজের প্রতি আরমানুলের অনেক মনোযোগ। এ কারণে স্কুলজীবনের বিভিন্ন বিজ্ঞান মেলায় সে অনেক কিছু উদ্ভাবন করেছে। অনেকদিন ধরে তার ইচ্ছা ছিল একটি প্লেন বানানোর। কিন্তু তার জন্য যে টাকার প্রয়োজন, তা দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের ছিলো না। সম্পতি তার টাকা জোগাড় হওয়ায় দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে সে প্লেনটি বানিয়েছে।
মরিচাকান্দি ডি.টি একাডেমির প্রধান শিক্ষক মন্জুর আহমেদ বলেন, সাকিব মেধাবী ছেলে। সে প্লেন বানিয়েছে। তার এ উদ্ভাবনে আমরা অভিভূত। এ উদ্ভাবন যাতে দেশের কাজে লাগে, সে জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন।
একটি ছোট ও অন্যটি বেশ বড় আকৃতির।
সম্প্রতি প্লেন ২ টি পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করা হয়। এখন শুধু প্লেন নয়, তাকেও দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। বড় প্লেনটির নাম বোয়িং ৭৮৭ আর ছোটটির নাম বুষ্ট এয়ার ক্রাফট।
সাকিবের ভাষ্যনুযায়ী , তার আবিষ্কৃত ছোট্ট প্লেনটির ওজন ৩০০ গ্রাম, দৈর্ঘ্য ২৮ ইঞ্চি ও উইং ৩০ ইঞ্চি। প্লেনটিতে ব্র্যাস লেস ডিসি মটর ব্যবহার করা হয়েছে।বড়টির ওজন ৭০০ গ্রাম,দৈর্ঘ্য ৫ ফিট।
মটরের স্পিড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরো ৪টি ইলেকট্রিক সারভো মটর যোগ করা হয়। প্লেনটিতে সিক্স চ্যানেলের একটি রিমোট সংযোজন করা হয়েছে। বিমান তৈরীতে ককশিট/ফোম আর মটর, পাখা, ব্যাটারি,রিমোট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
প্লেনটি প্রায় দুই কিলোমিটার রেঞ্জ পর্যন্ত চলতে পারবে। তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রেঞ্জ আরো বাড়ানো সম্ভব বলে সে উল্লেখ করে। উভয় প্লেন দুটি আকাশে ১০০ মিটার উচ্চতায় ২০ মিনিট উড়তে পারে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের প্রবাসী মো. ইছাক মিয়ার ৩য় ছেলে।তার আরো ২ ভাই রয়েছে। সে মরিচাকান্দি ডি.টি একাডেমীর দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র।মানবিকে পড়েও প্লেন উড়িয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিজ্ঞান মেলায় সাফল্য এনে দেয়।
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও শাকিব পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্ভাবনী কাজ করছে। যা সত্যিই প্রশংসার বলে জানালেন তার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে শাকিব এ আবিষ্কার দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
৫ম শ্রেণিতে পড়াকালীন সে একটি প্লেন বানাবে বলে চিন্তা করে। কিন্তু অর্থাভাবে সেসময় এটা আর হয়ে ওঠেনি। পরে ১০ শ্রেণিতে উঠার পর তার প্রবল ইচ্ছার কারণে প্লেন বানানোর জন্য তাকে সাড়ে কয়েক দফায় ৫০ হাজার টাকা দেন তার বাবা।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দিকে শুরু হয় তার প্লেন বানানোর কাজ। ইউটিউব ও বড় ভাইয়ের পরামর্শে মাত্র ৫ দিনে পরীক্ষামূলকভাবে প্লেনটি বাড়ির কাছে জমিতে উড্ডয়ন করা হয়। প্রায় ১৫ মিনিট প্লেনটি আকাশে উড়ানোর পর অবতরণ করা হয়। এসময় বিপুল সংখ্যক মানুষ তার প্লেনটি দেখতে ভিড় করেন।
ক্ষুদে এই উদ্ভাবক সাকিবের দাবি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে উন্নত প্রযুক্তির মনুষ্যবিহীন আরো উন্নতমানের প্লেন, ড্রোন ও যান বানাতে পারবে সে।যদিও এরই মধ্যে সে স্বল্পমাত্রার ড্রোন,স্পিডবোট বানিয়ে সফল হয়েছে।
সাকিবের মা ছেনোয়ারা বেগম, প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) তার বাড়িতে গেলে বলেন, ছোট বেলা থেকে সৃজনশীল কাজের প্রতি আরমানুলের অনেক মনোযোগ। এ কারণে স্কুলজীবনের বিভিন্ন বিজ্ঞান মেলায় সে অনেক কিছু উদ্ভাবন করেছে। অনেকদিন ধরে তার ইচ্ছা ছিল একটি প্লেন বানানোর। কিন্তু তার জন্য যে টাকার প্রয়োজন, তা দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের ছিলো না। সম্পতি তার টাকা জোগাড় হওয়ায় দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে সে প্লেনটি বানিয়েছে।
মরিচাকান্দি ডি.টি একাডেমির প্রধান শিক্ষক মন্জুর আহমেদ বলেন, সাকিব মেধাবী ছেলে। সে প্লেন বানিয়েছে। তার এ উদ্ভাবনে আমরা অভিভূত। এ উদ্ভাবন যাতে দেশের কাজে লাগে, সে জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন।